পাঠ্যক্রম পরিবর্তনের এক অনন্য পন্থা ভৌগোলিক ও মানুষের আর্থসামাজিক পরিমণ্ডল; একটি আলোচনা

Author: সরোজ সেনাপতি

DOI Link :: https://doi-ds.org/doilink/06.2024-75949522/BIJMRD/Vol -2 / 4/A34/সরোজ সেনাপ

Abstract: ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি হল ভিত্তি আর শিল্প ভবিষ্যৎ। জলবায়ুর উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে মানুষের জীবন জীবিকা। আর্থিক উন্নয়ন ব্যক্তি থেকে সমাজের উন্নয়ন ধাবিত। সামাজিক উন্নয়নের হাতিয়ার শিক্ষা। শিক্ষার গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ হয় শিক্ষার মৌলিক উপাদান পাঠ্যক্রমের দ্বারা। ভবিষ্যতের নাগরিক শিশুকে শিক্ষা জীবন বিকাশের প্রক্রিয়ায় পৌঁছে দেয়। বিদ্যালয়ের ঘড়ি হল টাইমটেবিল তেমনি পাঠ্যক্রম হলো শিক্ষার ঘড়ি। শিশুর প্রয়োজনে সমাজের প্রয়োজনে দরকার আমাদের শিক্ষা। শিক্ষা চিন্তার ধারাবাহিক বিবর্তন যুগ যুগ হতে। প্রাচীন ভারতবর্ষ থেকে শুরু করে বর্তমান সময়কাল পযন্ত শিক্ষার ক্রম পরিবর্তন একমুখী নয় হয়েছে ভিন্নমুখী। ব্রহ্ম সত্য জগত মিথ্যা থেকে শুরু করে গুরুবাক্য বেদবাক্য। অন্যত্র ICT এর সময়ে প্রযুক্তি নির্ভর ভাবনায় শিক্ষা চিন্তা পরিবর্তিত হচ্ছে। পাঠ্যক্রম কেন্দ্রিক ভাবনার ক্ষেত্রে নানাবিধ দিক থাকে। পাঠ্যক্রমের নীতি নির্ধারণ। স্বাভাবিক গতি প্রকৃতি বিভাজন, আশ্রয়স্থান, নিয়ন্ত্রণ সবকিছু সমকালীন পরিমণ্ডল কেন্দ্রিক ভাবনার অনুষঙ্গ, সমাজের আর্থিক উন্নয়ন হলে পারিবারিক উন্নয়নের সাথে সাথে শিশুর মেধাগত উন্নয়ন ও সমানতালে চলে। সময়ের বিবর্তনের বুদ্ধাঙ্কের ও পরিবর্তন লক্ষণীয়। কৃষিকাজ কিংবা জলবায়ুগত কারণে শিশুর দৈহিক ক্ষমতার পাশাপাশি লড়াকু মানসিকতার জন্ম দেয়। প্রাসঙ্গিকভাবে তখন প্রয়োজন হয় নতুন কিছু উদ্ভাবনমূলক চিন্তা যা তার জীবনের পরিপন্থী হিসেবে কাজ করবে। পাঠ্যক্রম ক্রম উন্নয়ন শিশুকে পাঠ্যমুখী করার সোপান। পাঠ্যক্রমের মধ্য দিয়ে সার্বিক বিকাশ ও হয়। যে পাঠ্যক্রমে আমরা নির্ভর করছে সেই পাঠ্যক্রম কাকে নির্ভর করছে? মানুষের রুচির উপর খাদ্য নির্ভর করে, মানুষ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার স্বপ্ন দেখে। নিজশিক্ষা চিন্তা দ্বারাই মানুষের দর্শন কাজ করে। ফলত পাঠ্যক্রম সমকালীন পরিমণ্ডল দ্বারাই তার ভীত প্রশস্থ করে। দার্শনিক ভাবনা ও চিন্তায় একান্ত প্রাপ্ত হয়ে বলতে হয় ভিত্তি ভূমি সমাজ আর গঠনশৈলী মানুষের আচরণ। সুতরাং মানুষের স্বাভাবিক জীবন ছন্দের সাথে তাল মিলিয়েই একটি পাঠ্যক্রম তৈরি হয়।

Key words: পাঠ্যক্রম, কৃষিকাজ, হাতিয়ার, উদ্ভাবন, জলবায়ু।

Page no : 31-35

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *