Author: Tahidul Islam Mandal
DOI Link : https://doi.org/10.70798/Bijmrd/020500017
ভূমিকা:-: লোকসাহিত্য লোকসংস্কৃতির একটি জীবন্ত ধারা;এর মধ্য দিয়ে জাতির আত্মার স্পন্দন শোনা যায়। একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক পরিমন্ডলে একটি সংহত সমাজমানস থেকে এর উদ্ভব।সাধারণত অক্ষরজ্ঞানহীন পল্লিবাসীরা স্মৃতি ও শ্রুতির ওপর নির্ভর করে এর লালন করে।মূলে ব্যক্তিবিশেষের রচনা হলেও সমষ্টির চর্চায় তা পুষ্টি ও পরিপক্কতা লাভ করে।এজন্য লোকসাহিত্য সমষ্টির ঐতিহ্য,আবেগ,চিন্তা ও মূল্যবোধকে ধারণ করে।বিষয়,ভাষা ও রীতির ক্ষেত্রে প্রচলিত ধারাই এতে অনুসৃত হয়।কল্পনাশক্তি, উদ্ভাবন-ক্ষমতা ও পরিশীলিত চিন্তার অভাব থাকলেও লোকসাহিত্যে শিল্পসৌন্দর্য,রস ও আনন্দবোধের অভাব থাকে না।তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একে ‘জনপদের হূদয়-কলরব’ বলে আখ্যায়িতকরেছেন।লোকসঙ্গীত,গীতিকা,লোককাহিনী,লোকনাট্য,ছড়া,মন্ত্র,ধাঁধা ও প্রবাদ এই আটটি শাখায় ভাগ করা যায়।লোকসঙ্গীত ঐতিহ্যগতভাবে বিশেষ সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত গান; সাধারণত পল্লীর অনক্ষর জনগণ এর প্রধান ধারক। বিষয়, কাল ও উপলক্ষভেদে এ গানের অবয়ব ছোট-বড় হয়।ধুয়া,অন্তরা,অস্থায়ী ও আভোগ সম্বলিত দশ-বারো চরণের লোকসঙ্গীত আছে;আবার ব্রতগান,মেয়েলী গীত,মাগনের গান,জারি গান,গম্ভীরা গান ইত্যাদি আকারে অপেক্ষাকৃত বড় হয়।কবির লড়াই,আলকাপ গান,লেটো গান এবং যাত্রাগান হয় আরও দীর্ঘ,কারণ সারারাত ধরে এগুলি পরিবেশিত হয়।অতীত ঐতিহ্য ও বর্তমান অভিজ্ঞতাকে আশ্রয় করে লোককথাবালোকসাহিত্যরচিত হয়।
Keywords: লোকসংস্কৃতি,প্রচলিত গান,বিশেষ সম্প্রদায় বা গোষ্ঠী,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,
Page No : 130-132