Author: Chanchal Ghosh
DOI Link: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/03090020
Abstract (সারসংক্ষেপ): প্রতিটি শিশু এক একটি জীবন্ত বিস্ময়, এক অনাবিষ্কৃত মহাদেশ। তার মনের গভীরে ঘুমিয়ে থাকে অসীম সম্ভাবনা, অফুরন্ত কৌতূহল আর কল্পনার রামধনু। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য সেই ঘুমন্ত সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলা, সেই কৌতূহলের আগুনে স্ফুলিঙ্গ দেওয়া এবং সেই কল্পনার পাখিকে উড়ানের জন্য এক অনন্ত আকাশ উপহার দেওয়া। কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রথাগত শিক্ষা এই সত্যকে উপেক্ষা করে শিশুর মনকে এক তথ্যভান্ডারে পরিণত করতে চেয়েছে। এই যান্ত্রিকতা ও প্রাণহীনতার বিরুদ্ধেই গর্জে উঠেছিল দুটি কণ্ঠ—প্রাচ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পাশ্চাত্যে জ্যাঁ-জ্যাক রুশো। শিশুকেন্দ্রিক শিক্ষা কেবল একটি পদ্ধতি নয়, এটি এক জীবনদর্শন—যা শিশুর অন্তর্নিহিত সম্ভাবনা ও মানবতাকে সম্মান জানায়। যে শিক্ষা শিশুকে আত্ম-আবিষ্কারে সহায়তা করে, নিজের মতো করে ভাবতে ও সৃষ্টি করতে শেখায়, এবং অন্যকে সম্মান জানিয়ে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য খুঁজে পেতে শেখায়—সেই শিক্ষাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শ্রেষ্ঠ পাথেয়।
Keywords (মূল শব্দ): শিশু শিক্ষা, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, শিক্ষা দর্শন, শিক্ষা পরিকল্পনা, জাতীয় শিক্ষানীতি।
Page No: 188-192
