Author: রঞ্জয় সাহা
DOI Link: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/03040023
Abstract(সারসংক্ষেপ): রোমান্টিকতা গীতিকবিতারই একটা বিশিষ্ট লক্ষণ। কল্পনার ঐশ্বর্য, আবেগের গভীরতা, সৌন্দর্যের নিবিড়তা এবং সুদূরের ব্যঞ্জনা— মোটামুটি এইগুলি রোমান্টিক মনোভাবের লক্ষণ বলে গৃহীত হয়ে থাকে। রোমান্টিকতা রচনারীতি নয়— একপ্রকার মানস-প্রতীতি। রোমান্টিক কবি বা শিল্পীর মর্ত্যচেতনাই প্রধান ‘আলম্বন’। গৌড়ীয় বৈষ্ণব দর্শন গড়ে উঠেছে চৈতন্যদেবের আবির্ভাবের পর। চৈতন্যের দিব্যজীবনকে কেন্দ্র করেই যেন রাধাকৃষ্ণের অপার্থিব প্রেমলীলা মূর্ত হয়ে উঠেছিল। বৈষ্ণব সাধকেরা বৈষ্ণব কবিতায় যতই তত্ত্ব আরোপ করুক না কেন রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা আমাদের মানবিক প্রেমের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। কান্নাহাসি বিজড়িত পার্থিব প্রেমের উজ্জ্বল প্রকাশ ঘটেছে এই বৈষ্ণব কবিতায়। অসীম অনন্ত প্রেমই বৈষ্ণব পদাবলির বিষয়বস্তু। এর মধ্যে সুখ নেই, নেই কাম-গন্ধ। আসলে বৈষ্ণব কবিতা লৌকিক ও অলৌকিকতার মেলবন্ধন ঘটিয়েছে। সীমা ও অসীমের মাঝখানে দাঁড়িয়ে বৈষ্ণব কবিতা আমাদের মনে অসীমের সন্ধান এনে দেয়।
Keywords(মূল শব্দ): রোমান্টিকতা, গীতিকবিতা, বৈষ্ণব কবিতা, মানবিক প্রেম, পার্থিব প্রেম, প্রেমলীলা।
Page No: 226-231
