নৈতিক-অনৈতিকতায় ভারতীয় মহাকাব্যের চরিত্ররা : একটি সমীক্ষা

Author: কোয়েল ঘোষ

DOI Link: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/03030012

Abstract / সারসংক্ষেপ: মানুষের মনে প্রাচীন নৃপতিগণের, লোকোত্তর বীরপুরুষগণের ও দেবতাগণের কাহিনী শোনার শাশ্বত প্রবৃত্তিকে অবলম্বন করে যুগে যুগে যেসব কাহিনীর সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রথম সুসম্পূর্ণ সংকলন হল রামায়ণ ও মহাভারত এই দুই মহাকাব্য। বেদ থেকে রামায়ণ মহাভারত পর্যন্ত ভারতীয় আর্যগণের একই জিজ্ঞাসা-জীবনের রহস্য কী? পরিণতি কোথায়? জীবনকে সমৃদ্ধ ও সার্থক করা যায় কী রূপে? আর্যগণ এই শাশ্বত প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছিলেন মননের মধ্য দিয়ে। এই প্রশ্নগুলি যেমন সেকালের বৈদিক যুগের অনুসন্ধানের বিষয়, একইভাবে তা দর্শনের বিষয়। এই দুই মহাকাব্যেই বীর নৃপতিগণের বীর্যগাথাসমূহ মূল উপজীব্য হলেও, তার সঙ্গে অনুপ্রবিষ্ট হয়েছে নীতি ও ধর্মের কথা, ত্যাগ, মৈত্রী, অহিংসা, জাগতিক বিষয়ে অনাসক্তি, নিষ্কাম কর্ম, জন্মান্তরবাদের নানাবিধ আখ্যান মাল্য।

দর্শনের একটি অন্যতম শাখা হল নীতিশাস্ত্র সেখানে মূলত মানুষের স্বেচ্ছা আরোপিত কর্মের ন্যায্যতা অন্যায্যতা, ভালো-মন্দ নিয়ে চর্চা করা হয়। আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান হিসাবে নীতিশাস্ত্র মূলত মানুষের শুভবোধ, বিবেকের নির্দেশে কর্ম সম্পাদন, পরহিতসাধন এককথায় মনুষ্যত্বের উচ্চতর প্রবৃত্তি নিয়ে আলোচনা করে। সেইদিক থেকে বিচার করলে মহাকাব্যে, পুরাণে উল্লেখিত কাহিনীর মধ্যে সেই নৈতিক আদর্শের কথা মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করানোই অন্যতম উদ্দেশ্য সেটা নির্দ্বিধায় বলা যেতেই পারে।

আমার এই আলোচনা পত্রে ভারতীয় দুই মহাকাব্য অর্থাৎ রামায়ণ ও মহাভারতে কিছু অবিস্মরণীয় চরিত্র বা নায়ক (Hero)-এর যে আদর্শগাথা তথা মহানুভবতার কথা উল্লেখিত হয়েছে, নৈতিক মানদণ্ডে তা কতখানি গ্রহণযোগ্য, সেটি সংক্ষিপ্ত পরিসরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আলোচনাপত্রের দ্বিতীয়পর্বে হাজার হাজার বছর পূর্বে প্রাচীন কাহিনীগুলির বর্তমান যুগেও আদৌ প্রাসঙ্গিক কিনা সেটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি।

Keywords: রামায়ণ, মহাভারত, মহাকাব্য, দর্শন, পুরাণ, নীতি ও ধর্ম কথা, নৈতিকতা, অনৈতিকতা।

Page No: 102-107