Author: Kausik Karak
DOI Link: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/03010030
Abstract(সারসংক্ষেপ): ভারতের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় মধ্যাহ্নভোজন প্রকল্প বা মিড-ডে মিল স্কিম একটি অগ্রগণ্য সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষত দরিদ্র, প্রান্তিক ও আদিবাসী অঞ্চলের শিশুদের বিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত রাখতে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রকল্পটি মূলত বিদ্যালয়ে ভর্তির হার বৃদ্ধি, নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, অপুষ্টি দূরীকরণ, শিশুর স্বাস্থ্যোন্নয়ন এবং শিক্ষায় বৈষম্য হ্রাসের উদ্দেশ্যে চালু হলেও সময়ের সঙ্গে এটি শিশুদের সামগ্রিক বিকাশে একটি শক্তিশালী সহায়কে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনের পুষ্টিকর খাবার শিশুদের BMI, ওজন, উচ্চতা ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে, যার ফলে শেখার ক্ষমতা, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। তাছাড়া, একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে জাতপাত, শ্রেণি ও লিঙ্গভেদজনিত বিভাজন কমে সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি পায়। তবে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে কিছু সীমাবদ্ধতা—যেমন অপর্যাপ্ত পরিকাঠামো, খাদ্যগুণমান নিয়ন্ত্রণের ঘাটতি, রান্না–কর্মীদের কম পারিশ্রমিক ও দুর্বল মনিটরিং—অবশ্যই সমাধানযোগ্য। সামগ্রিকভাবে, মধ্যাহ্নভোজন প্রকল্প ভারতীয় প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার, শিশু–স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।
Keywords(মূল শব্দ): মধ্যাহ্নভোজন প্রকল্প, প্রাথমিক শিক্ষা, অপুষ্টি হ্রাস, উপস্থিতি ও ভর্তির হার, সামাজিক সম্প্রীতি।
Page No: 250-255
