Author: Minati Sau Bhaumik & Dr. Sanchita Banerjee Roy
DOI Link: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/03080022
Abstract: উনিশ শতকের প্রথমার্ধে, কলকাতার সাংস্কৃতিক পরিবেশ ঐতিহ্যবাহী, ভক্তি-কেন্দ্রিক যাত্রা পরিবেশনার জন্য অনুকূল ছিল না। শহরটি নৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবক্ষয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এই সময়কালে জনসাধারণের রুচির অবক্ষয় ঘটেছিল। এই পরিবেশে যাত্রা তার ঐতিহ্যবাহী চরিত্র এবং ভক্তিমূলক চেতনা হারিয়ে ফেলে। যেখানে অতীতের বৌদ্ধিক এবং শৈল্পিক সাধনাগুলি চটুল নৃত্য, সস্তা গান এবং প্রহসনমূলক নাটকের মতো অশ্লীল বিনোদন (সঙ) দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। এর ফলে ‘শখের যাত্রা’র উত্থান ঘটে, যা প্রায়শই ঐতিহ্যবাহী যাত্রার মূল নীতিগুলি, যেমন একটি সুসংগত আখ্যান, পরিত্যাগ করে। যদিও কিছু পরিবেশনা ‘নল-দময়ন্তী’র মতো পৌরাণিক কাহিনীর উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল, তবুও সেগুলির গাম্ভীর্য কেড়ে নেওয়া হয়েছিল এবং কবি-গানের মজাদার এবং তুচ্ছ শৈলীতে আচ্ছন্ন করা হয়েছিল। ভারতচন্দ্রের ‘বিদ্যাসুন্দর’-এর কামোত্তেজক এবং চাঞ্চল্যকর প্রভাবও বিশিষ্ট হয়ে ওঠে, যা যুগের বিকৃত নান্দনিক বোধকে রূপ দেয়। রামচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ‘নন্দবিদায়’-এর মতো পরিবেশনাগুলিকে যাত্রার একটি ‘নতুন ধরণ’ হিসেবে প্রশংসিত করা হয়েছিল। তবে, এর অভিনবত্ব ছিল এর নাট্য কাঠামোতে নয় বরং এর উপস্থাপনায়। এতে অর্ধ-আখড়াই দ্বারা প্রভাবিত উচ্চতর সঙ্গীত, উন্নত পোশাক এবং একজন মহিলা শিল্পীর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। যাত্রার সঙ্গীতের ধরণ প্রায় সম্পূর্ণরূপে কবিগানের শৈলী দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল।
Keywords: যাত্রা, সঙ, সখের যাত্রা, ঊনবিংশ শতাব্দীর কলকাতার জনরুচি, রুচিবিকৃতি, সংস্কৃতির অধোগতি, নববাবু, কবিগান, বিদ্যাসুন্দর
Page No: 161-170