Author: Bandana Sautya & Dr. Sanchita Banerjee Roy
DOI Link: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/03080021
Abstract: তিরিশের দশকে বাংলা কথাসাহিত্যের পালাবদলের প্রেক্ষাপটে এই গল্প দুটি রচিত, যেখানে মনোবিশ্লেষণ ও সমাজবাস্তবতার প্রভাব সুস্পষ্ট। উভয় গল্পেই লেখকদ্বয় (তারাশংকর বন্দ্যোপাধ্যায় ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়) খোঁড়া শেখ ও ভিখু ডাকাত নামক দুজন শারীরিক প্রতিবন্ধী চরিত্রকে কেন্দ্রীয় চালিকাশক্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। দুটি চরিত্রই ক্ষুধা, যৌনতা এবং হিংস্রতার মতো আদিম প্রবৃত্তি দ্বারা চালিত। ‘নারী ও নাগিনী’ গল্পে খোঁড়া শেখের সাপের প্রতি আসক্তি এবং তার স্ত্রী জোবেদা ও একটি নাগিনীর মধ্যেকার ঈর্ষাপরায়ণ সম্পর্ক মানুষ ও পশুর সহজাত প্রবৃত্তির অভিন্নতাকে তুলে ধরে। অন্যদিকে, ‘প্রাগৈতিহাসিক’ গল্পের ভিখু ডাকাত শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আদিম যৌন ক্ষুধা মেটাতে খুন করতেও দ্বিধা করে না। চরিত্রটি সভ্য সমাজের বাইরের এক অকৃত্রিম সত্তা, যে তার আদিম আবেগকে আড়াল করতে জানে না। উভয় গল্পকারই প্রতিবন্ধী চরিত্র দুটির মাধ্যমে মানব মনের গভীরে থাকা আদিম পাশব প্রবৃত্তি এবং সভ্যতার আবরণ উন্মোচন করেছেন, যা চরিত্র দুটিকে বাংলা সাহিত্যের জগতে স্বতন্ত্র করে তুলেছে।
Keywords: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, নারী ও নাগিনী, প্রাগৈতিহাসিক, আদিম প্রবৃত্তি, খোঁড়া শেখ, ভিখু ডাকাত, যৌনতা, মনোবিশ্লেষণ, সমাজবাস্তবতা, প্রতিবন্ধী চরিত্র, সামাজিক শ্রেণী
Page No: 154-160