রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ক্ষুধিত পাষাণ’ গল্পের মেহের আলি এবং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তিরোলের বালা’ গল্পের পূর্ণিমা : দুই তথাকথিত পাগল চরিত্রের মানসিক প্রতিবন্ধকতার স্বরূপ

Author: Bandana Sautya & Dr. Sanchita Banerjee Roy

DOI Link: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/03020030

Abstract: আলোচ্য নিবন্ধের সূচনায় ‘পাগল’ শব্দটি ব্যবহারের সংবেদনশীলতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন জটিল দিক সম্পর্কে সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ক্ষুধিত পাষাণ’ গল্পের মেহের আলি এবং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তিরোলের বালা’ গল্পের পূর্ণিমা। মেহের আলিকে শাহীবাগের তুলার মাশুল-কালেক্টরের বিকল্প-সত্তা (Alter-ego) রূপে দেখানো হয়েছে, যিনি অতীত ও বর্তমানের (Illusions and Reality) দ্বন্দ্বে মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন। প্রাসাদ-রাক্ষসের গ্রাস থেকে মুক্তি পাওয়া সত্ত্বেও তিনি প্রতিদিন ‘তফাত যাও, সব ঝুট হ্যায়’ বলে সতর্কবার্তা দিতে থাকেন। অন্যদিকে, অপরূপ রূপবতী পূর্ণিমাকে তার দাদা পাগলাকালীর বালা পরানোর উদ্দেশ্যে সুদূর তিরোলে নিয়ে যাচ্ছেন। পূর্ণিমা দুই মাস ধরে নীরব থাকলেও, অপরিচিত পরিবেশে তার মানসিক ভারসাম্য লঙ্ঘিত হতে পারে -এই আশঙ্কা বিদ্যমান ছিল । আপাতদৃষ্টিতে শান্ত, অতিথিপরায়ণ এই তরুণীর আচরণে ফ্রয়েডীয় জীবন-মৃত্যু দ্বিপক্ষবাদের (Life and Death Polarity) জটিল মনস্তত্ত্বের প্রতিফলন ঘটেছে, যা তাকে চরম মুহূর্তে আত্মরক্ষার তাগিদে পরঘাতী করে তুলেছে। এই দুটি চরিত্রের বিশ্লেষণের মাধ্যমে লেখকদ্বয় মানসিক বৈকল্যের জটিলতা ও মনস্তত্ত্বের গভীরতাকে উন্মোচন করেছেন।

Keywords: পাগল, মানসিক প্রতিবন্ধী, পাগল চরিত্র, বাংলা ছোটগল্প, ক্ষুধিত পাষাণ, মেহের আলি, তিরোলের বালা, পূর্ণিমা।

Page No: 214-224