Author: Sutapa Singha Mahapatra
DOI Link: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/03100026
Abstract: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘মৃণালিনী’-র কেন্দ্রীয় চরিত্র মনোরমা বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের অন্যান্য নারী চরিত্রের মতোই অসামান্য সুন্দরী, স্বাধীনচেতা, শিক্ষিত এবং গল্পের প্রোটাগনিস্ট। মনোরমা চরিত্রটি দুই পরস্পরবিরোধী মূর্তির অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত। এক মূর্তিতে সে আনন্দময়ী, সরলা বালিকা; অন্য মূর্তিতে সে গম্ভীরা, তেজস্বিনী, প্রতিভাময়ী, প্রখরবুদ্ধিশালিনী। তার বয়স সম্পর্কে উপন্যাসে স্পষ্ট উল্লেখ না থাকলেও, আনুমানিক পনেরো থেকে আঠারো বছরের মধ্যে হওয়ায় সে বাল্য ও যৌবনের সন্ধিক্ষণে অবস্থান করে। স্বামীসঙ্গ সুখ থেকে বঞ্চিত হওয়া এবং সংস্কারবর্জিতা ও স্বাধীনভাবাপন্না প্রকৃতির কারণে তার মধ্যে বালিকাসুলভ সারল্য, ভয়হীনতা এবং কপালকুণ্ডলার সঙ্গে সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। বিধাতা-নির্ধারিত দিবসে তার স্বামী পশুপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পূর্বে মনোরমা নিজেকে বিধবা বলেই জানত। এই সময় থেকেই সে প্রেমের বৈধতা-অবৈধতা নেই বলে বুঝেছিল। পরে পশুপতিকে পাপকার্য থেকে নিরস্ত করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সে তার প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করে। জ্যোতিষীর গণনাকৃত ভবিষ্যৎ অখণ্ডনীয় জেনেও সে নীরবে সেই দিনটির প্রতীক্ষা করত, যেদিন তার জন্য শ্মশানভূমিতে বাসরশয্যা রচিত হবে। অসহ্য দহন জ্বালা ও সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গতার কারণে মনোরমা মাঝে মাঝে আত্মবিস্মৃত হয় এবং এক স্বপ্নময় জগতে বিচরণ করে।
Keywords: বঙ্কিমচন্দ্র, উপন্যাস, মৃণালিনী, নারী চরিত্র, মনোরমা।
Page No: 210-216
