Author: সৌমি দাঁ
DOI Link: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/03010026
Abstract(সারসংক্ষেপ): শিশু মন সম্ভাবনার স্বর্ণখনি, যার পূর্ণ বিকাশের মাধ্যম হলো শিক্ষা। শিক্ষার এই “দেওয়া-নেওয়া” প্রক্রিয়ায় ভাষা একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন। শিক্ষার মাধ্যম যদি সহজ মাতৃভাষা হয়, তবে শিশুর মানসিক ও জ্ঞানীয় বিকাশ মসৃণভাবে ঘটে। ভাষানীতি এই প্রক্রিয়াকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুনিশ্চিত করে, যাতে মাতৃভাষার সংরক্ষণ, বিকাশ ও শিক্ষায় প্রয়োগ নিশ্চিত হয়। প্রাক-স্বাধীনতা থেকে স্বাধীনতাত্তোর ভারতে বিভিন্ন কমিশন—উডের ডেসপ্যাচ, হান্টার, স্যাডলার, রাধাকৃষ্ণণ, মুদালিয়ার ও কোঠারী—সবাই মাতৃভাষাভিত্তিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ছাড়াও উর্দু, নেপালি, কুরুখ, কামতাপুরী ইত্যাদি ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। মাতৃভাষা শিশুর চিন্তা, অনুভূতি, সৃজনশক্তি ও নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশে মুখ্য ভূমিকা রাখে। এটি তার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের মূলভিত্তি। মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষালাভ সহজ, স্বাভাবিক ও হৃদয়গ্রাহী হয়। তবে সফল মাতৃভাষাভিত্তিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজন দক্ষ শিক্ষক, প্রশিক্ষণ, উন্নত পাঠ্যপুস্তক ও সঠিক মূল্যায়ন পদ্ধতি। সর্বোপরি, মাতৃভাষা শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন করে ব্যক্তিত্ব ও জাতীয় চেতনার বিকাশ ঘটায়।
Keywords(মূল শব্দ): ভাষানীতি, মাতৃভাষা, প্রাথমিক শিক্ষা, রাষ্ট্রীক শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষার্থী, ভাষাশিক্ষা।
Page No: 224-227
