শিশু সাহিত্যে সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর অবদান

Author: Saswata Das

DOI Link: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/03010036

Abstract(সারসংক্ষেপ): ভাব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো ভাষা। অন্যভাবে বলা যায় আত্মপ্রকাশের অবলম্বনই হলো ভাষা। মানুষের ভাব, ভাবনা, কল্পনা ও চিন্তা কে সাহিত্যের মধ্য দিয়ে মানুষ প্রকাশ করে। শিশু তার জন্মগ্রহণ করার পরে ক্রমবিকাশের পদবী ভাষাকে আত্মস্থ করে। সাহিত্যকে আশ্রয় করে শিশু থেকে বড় সবাই তার পিপাসু মনের খোরাক নেয়। শিশু কখনো সাহিত্যের সুতা আবার কখনো শিশু ভোলানাথ হিসেবে পৃথিবীতে তার দিব্য আবির্ভাব। মানব শিশু কখনো বিষয় কখনো বা উদ্দেশ্য হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। শিশু সাহিত্যের চরিত্র চিত্রন যেমন সাহিত্যিকরা করেন আবার শিশুর জন্যই কেবল সাহিত্য এমনও দিক নির্দেশ থাকে। শিশু সাহিত্যির হিসেবে বাংলা সাহিত্য আসরে এক অনবদ্য স্থান উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর। সাহিত্য, সংগীত চিত্রকলা মতো বিষয়ে তার প্রতিভা দক্ষ ছিল। পুরান প্রসঙ্গকে টেনে তিনি সৃষ্টির ভান্ডার কে করেছেন সমৃদ্ধ। শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য তিনি সাহিত্যে বিচিত্র পূর্ণ ছন্দ ও ভাষাকে ব্যবহার করেছেন। বীর, হাস্য একাধিক রসকে প্রাধান্য দিয়েছেন তার সাহিত্যে। তার সন্দেশ পত্রিকায় কবিতাগুলি শিশু সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ হিসেবে আজও সমাদৃত। উপকথা কেন্দ্রিক ভাবনায় তার টুনটুনির বই সহ গুপী গাইন বাঘা বাইন অনবদ্য সম্ভার। সখা, সন্দেশ ও মুকুল পত্রিকায় তিনি গল্প-নাটক উপকথা বিজ্ঞান প্রবন্ধ ছড়া লিখতেন। পাশাপাশি তিনি আঁকতেও ভালবাসতেন। ব্যাঙেগর কসাঘাতে শিশুদের মধ্যে তুলে দিয়েছেন বাস্তব সত্য দর্শন। শিশু মন আনন্দঘন রূপকথা কে আশ্রয় করে অনায়াসে, আবার ভৌতিক সহ রাক্ষসদের আবির্ভাব এ মনে দানা বাধে। উপেন্দ্র সাহিত্য শিশু মনের খোরাক জাগরণের এক অনবদ্যসম্ভার। চঞ্চলা মন কাড়ে সাহিত্যের খোরাকে। মাতৃ করে শিশু খাদ্য গ্রহণ করে রাক্ষস ও পশু পাখির কথা শুনে। নিদ্রা যাপন করে শিশু ভোলানাথ এর মত রামায়ণ কিংবা মহাভারতের কাহিনী শুনে। উপেন্দ্র সাহিত্য ছোট থেকে বড়দের হৃদয় দূতিয়ালি মন কাড়ে।

Keywords(মূল শব্দ): সাহিত্য ভান্ডার, আনন্দঘন, ক্রমবিকাশ, উপকথা, রাক্ষস, সন্দেশ, মুকুল।

Page No: 284-288