Author: মৌ দত্ত
DOI Link: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/020900019
Abstract: ঊনবিংশ শতকের পূর্ণিয়া ভাগলপুর সাহেবগঞ্জের গ্রামীণ পটভূমির মধ্যে স্বচ্ছল পরিবারে প্রত্যয়শীল মন নিয়ে বড় হয়ে উঠেছিলেন বনফুল। প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় সান্নিধ্য থাকা বনফুলের গ্রাম্য শান্ত নিস্তরঙ্গ জীবন প্রবাহ তাঁকে সমকালীন শহরের জটিল জীবন-ভাবনা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। হাজারীবাগে পড়াশোনার সুবাদে হিন্দু ধর্মের সংস্কারময় জগৎ থেকে খ্রিস্টীয় জীবনাচার তাঁর মধ্যে ধর্ম-সংস্কার মুক্ত এক অবিচল বিশ্বাস গড়ে তুলল মানুষের প্রতি। তাঁর প্রত্যয়নিষ্ঠ অন্তরঙ্গ জীবন-ভাবনায় নৈর্ব্যক্তিক ব্যঞ্জনায় আবিষ্ট হয়ে উঠতে লাগলো প্রাণের গভীরে সিঞ্চিত হয়ে ওঠা প্রকৃতির মন্থিত নির্যাস। এরপর ডাক্তারি পড়বার সুবাদে তাঁকে আসতে হলো কলকাতার মেডিকেল কলেজে। দেশকাল বিশ্ব যুদ্ধের বিভীষিকা বনফুলের হৃদয়কে সেদিন আন্দোলিত করতে পারিনি। কিন্তু কলকাতার বুকে মহানাগরিক যুদ্ধ, বিশ্ব যুদ্ধের দামামা, নিরবধি জীবন সংকট বনফুলের আত্মকেন্দ্রিক শিল্পী মনকে ভগ্নপ্রত্যয় বৈনাশিকতার উজান ঠেলে এনে দাঁড় করালো প্রত্যয় ভঙ্গের অস্থিরতাযুক্ত এক নতুন ভাবনার দরজায়। আজন্ম লালিত বিশ্বাস অনুভবের সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে থাকা বাস্তব জীবনবোধের প্রেরণা বনফুলকে রহস্যমুখী করে তুলল। মানব জীবন বোধের প্রতীতির শিকড়ে গিয়ে শিল্পী স্বভাবের আত্মানুসন্ধানে ব্রতী হলেন বনফুল।
Keywords: গ্রামীণ পটভূমি, শহরের জটিল জীবন, আত্মকেন্দ্রিক শিল্পী, জীবনবোধের প্রেরণা .
Page No- 162-175