Author: Minati Sau Bhaumik & Dr. Sanchita Banerjee Roy
DOI Link: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/03020031
Abstract: অষ্টাদশ শতকের ভারতচন্দ্রের ‘বিদ্যাসুন্দর’ কাব্য যাত্রাপালা হিসেবে ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলায়, বিশেষত কলকাতায় নতুন রূপ লাভ করেছিল। ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের দ্বিতীয় খণ্ড হিসেবে ‘বিদ্যাসুন্দর’ কাব্যের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে ভারতচন্দ্রও বিদ্যাসুন্দরের কবিরূপে পরিচিত হন। এই যাত্রার মূল আখ্যান ছিল বর্ধমানের রাজকন্যা বিদ্যা এবং কাঞ্চীর রাজকুমার সুন্দরের গোপন মিলনকে কেন্দ্র করে। কবিওয়ালাদের যুগে এই যাত্রায় নৃত্য ও গীতের আধিক্য ছিল, যা কবি-সঙ্গীতের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। কলকাতায় মহারাষ্ট্রীয় বাইজীদের আগমনের পর যাত্রা-সঙ্গীতে তবলা ও ঘুঙুরের ব্যবহার শুরু হয় এবং টপ্পা গান জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই পটভূমিতেই গোপাল উড়িয়ার হাতে বিদ্যাসুন্দর যাত্রার পথচলা। গোপাল প্রবর্তিত নৃত্যের নতুন রীতি সম্ভবত উড়িয়া সংস্কৃতির বঙ্গীয়করণ ছিল। তিনি যাত্রা থেকে পয়ার সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে গান ও নাচকে একত্রিত করে একটি পুরো ‘Ballet’ তৈরি করেন। গোপাল উড়িয়ার যাত্রা ছিল আদিরস-ভিত্তিক ও আধ্যাত্মিকতা-বর্জিত, যা উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের বাঙালির বিকৃত রস-পিপাসার চরম দলিল হয়ে ওঠে। গোপালের পালায় ব্যবহৃত চলিত বাংলা ভাষায় রচিত অনেক গান রাম বসুর রচনা হতে পারে বলে অনুমান করা হয়, যা তৎকালীন মজলিশী সমাজের বে-আব্রু ভাষা ছিল।
Keywords: যাত্রা, ভারতচন্দ্র, বিদ্যাসুন্দর যাত্রা, গোপাল উড়িয়া, গোপাল উড়ে, টপ্পা গান, রাম বসু।
Page No: 225-232
