রবীন্দ্র ছোটগল্পের সমাপ্তি নানান অনুভবে : একটি আলোচনা

Author: পীতাম্বর দাস

DOI Link: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/03050008

Abstract: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প পাঠক হৃদয়ে সুদূরের প্রিয়াসী। মানুষের ভাবনা, চিন্তা দ্যোতনাবাহী মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্পে। ছোট গল্পের মধ্যে চরিত্রের ভাববাহী ব্যঞ্জনাধর্মী বক্তব্য পাঠককূল কে ভাবিত করেছে। রবীন্দ্রনাথ এক বিশাল মহীরুহ। সারা পৃথিবী ব্যাপী তার সংসার। বিশ্ব মানবতার পূজারী রবি ঠাকুর ছোট প্রাণ আর ছোট ব্যথা গুলোকে বাস্তবসমক্ষে উত্তীর্ণ করেছেন শত ধারায়। সমাজের ছোটখাটো জীবন জিজ্ঞাসার দিকগুলিকে তুলে ধরেছেন সাবলীল ভাবে। সাংসারিক চিত্র, প্রেমিক প্রেমিকার টানাপোড়েন, শ্রমজীবী মানুষের জীবনের ঘূর্ণাবর্ত বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করেছেন গল্পের মধ্যে। আদি দৈবিক ও আধি ভৌতিক চর্চার চর্চিত ধারা প্রবাহিত তার গল্পে। গল্পগুলির মধ্যে সুউচ্চ ভাবনা প্রকাশিত হয়েছে। অতিপ্রাকৃত পরিবেশের মধ্যে মর্মস্পর্শী কাহিনীর সঙ্গে মনস্তত্ত্ব প্রাধান্য পেয়েছে। কাহিনীর মধ্যে কথক হয়ে উঠেছে অনেক সময় প্রাণবন্ত। ক্লাইমেক্স এর দ্বারা গতি সঞ্চারিত হয়েছে নাটকীয় ভঙ্গিমায়। তাঁর গল্পে ভক্তি ভাবুকতা, জননী শোক, আত্মার প্রতি আত্মার গভীর সংযোগ হৃদয়বিদারী ভাবনায় চিত্রিত হয়েছে। গল্পের সমাপ্তিতে বিশেষ ব্যঞ্জনাবীর ভাষার দ্বারা পাঠকের কাছে কোন এক বিশেষ ইঙ্গিত ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে প্রায় প্রতিটি গল্প। মানবিক মূল্যবোধের বাণী প্রকাশ করতে চরিত্রের মুখে খোঁচা দিয়েছেন বক্তব্যকে ঘিরে। সামাজিক কৌলিন্যতা, পণপ্রথা, নারী বিদ্বেষন, চরিত্রের গভীরতম মনোনিবেশ সবকিছু এই ব্যঞ্জনা বাহী বক্তব্যের দ্বারা প্রকাশিত। শেষ বাক্যগুলিতে (!) বোধক চিহ্ন পাঠককে বিস্ময় বোধে উদ্বুদ্ধ করে। মানবিক চেতনা নিয়ে হয়তো আরো কিছু হতে পারতো এমন জিজ্ঞাসার চিহ্ন এসে যায় তার গল্পে। মানব মূল্যবোধের প্রকাশ ও এসেছে গল্পের সমাপ্তিতে। হায় ! কে কাহার! আদায়- শব্দগুলি যেন দূরদৃষ্টির প্রতি মনোযোগ এনে দেয় পাঠককে।

Keywords: জননীশোক, মনস্তত্ত্ব, বিশ্বজনীন, জিজ্ঞাসার আর্তি, ভৌতিক।

Page No: 85-90