বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সামাজিক উপন্যাসের শ্রেষ্ঠ রূপকার: উনবিংশ শতাব্দীতে

Author: জয়ন্ত মন্ডল

DOI Link: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/03050010

Abstract: সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নবজাগরণের প্রভাবে বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের জ্ঞান চৈতন্যের প্রকাশ তার সাহিত্য। সমাজ জীবনের খুঁটিনাটি তথ্য সহ চরিত্রের টানা পড়েন তার সাহিত্যে প্রতিফলিত। বিদ্যাসাগরের গদ্য কিংবা প্যারীচাঁদ মিত্রের আলালি ভাষার উত্তরণ হয়েছে তার সাহিত্য কর্মের মধ্যে। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে যেমন রবীন্দ্র যুগ বলে ধরা হয় তেমনি উনবিংশ শতাব্দীর শেষের তিন দশক ছিল বঙ্কিমচন্দ্রের যুগ। ঐতিহাসিক, দেশাত্মবোধক, তত্ত্ব সহ সামাজিক গার্হস্থ ধর্মী উপন্যাস রচনার পথিকৃৎ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তার বিশেষ কতকগুলি উপন্যাসের মধ্যে বাঙালি পরিবারের মসৃণ ঘরোয়া কাহিনী বিবৃত হয়েছে যেখানে কোন অদ্ভুত কাহিনী বিন্যাস নেই। তার সামাজিক উপন্যাসের মধ্যে অন্তর্লীন মনস্তাত্ত্বিক গূঢ়ৈষনাও অনুপস্থিত। ট্রাজিক মহিমায় ভাস্বর ছিল তার উপন্যাসের ঘটনার ঘনঘটা। সমাজ বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে বিধবার প্রেমকে মর্যাদা দিতে পারেননি বঙ্কিমচন্দ্র। বলিষ্ঠ ভাবাবেগের দ্বারা চরিত্রের স্বাভাবিক পরিণতি করতে তিনি অপারক ছিলেন। জীবনের প্রতি গভীর মায়া এবং বাস্তব পরিস্থিতির দ্বন্দ্ব আছে তার উপন্যাসে। উপন্যাসের বৈচিত্র্যতা, রচনা প্রকরণ, উপন্যাসিকের জীবন দর্শনে পরবর্তী যুগে প্রসারতার প্রভাবে তিনি অতুলনীয়। নারীর আকাঙ্ক্ষা এবং তার প্রকৃতির সঙ্গে সংস্কারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ করেছেন সাহিত্যিক। পুরুষের নৈতিক অধঃপতন ও মনস্তত্ত্বের দিক থেকে প্রাধান্য লাভ করেছে তার সাহিত্যে পরাধীনতার ক্লান্তি, আবার যুক্তির কষ্টিপাথরে প্রতিটি বিষয়ে যাচায়ের কারণে কাহিনীর গতি ও চরিত্র সৃজন অনেকটা সমতা বিধান হয়েছে। এক কথায় সামাজিক সমস্যার কেন্দ্রীয় মানদন্ড তার সামাজিক ও গার্হস্থ ধর্মী উপন্যাসে সমানভাবে প্রতিফলিত।

Keywords: দ্বন্দ, কষ্টিপাথর, মনঃস্তত্ব, দেশাত্ববোধক, গূঢ়ৈষনা।

Page No: 96-99