Author: বিশ্বজিৎ বিশ্বাস
DOI Link :: https://doi.org/10.70798/Bijmrd/02030002
সারসংক্ষেপ:
সাহিত্য বিগতকালের স্মৃতিচিহ্ন, বহমানকালের সম্বল এবং ভবিষ্যতের আমানত হিসেবে কাজ করে।জীবনের সত্যকে বাস্তবের দলিলরূপে সাহিত্যই তুলে ধরে। ত্রিশের দশক মানে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বা বিশ্বইতিহাসে এক ঘোরতর সংকটকাল। অপরদিকে ত্রিশের দশক বাংলা সাহিত্যের এক স্বর্ণময় বিপ্লবের যুগ।দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সম্মুখে দাঁড়িয়ে বিশ্বের ইতিহাসে যখন অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, তখন বাংলা সাহিত্যে এসেছে নতুন জোয়ার। বাংলার প্রতিটি মানুষের উদভ্রান্ত, উশৃংখল জীবনযাত্রার এক শোচনীয় ইতিহাসের প্রতিধ্বনি বাংলা সাহিত্যের পরতে পরতে লক্ষ্য করা যায়। তিরিশের দশকের কথাসাহিত্যিকরা এক ভিন্ন মাত্রায় বাংলা সাহিত্যকে করেছে সমৃদ্ধ। এই সমস্ত প্রথিতযশা কথাসাহিত্যিকদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সতীনাথ ভাদুড়ী, আশাপূর্ণা দেবী প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। যাঁরা উপন্যাসের কাহিনির ছাঁচে বাস্তবের রক্ত-পুঁজমাখা কথাগুলোকে, ব্যথাগুলোকে তুলে ধরেছিলেন তাঁদের লেখনীতে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে ভারতবর্ষসহ সমস্ত বিশ্ব যখন অস্থিরতায় ভুগছে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা যখন ব্যাহত হচ্ছে, সেই অন্ধকার মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কথাসাহিত্যিকরা লিখে চলেছেন ভাগ্যের কথা। লিখে চলেছেন প্রতিটি শ্রমজীবী মানুষের কথা। লিখেছেন ফ্যাসিবাদের কথা। এখানে ঔপন্যাসিকদের লেখায় উঠে এসেছে মার্কসবাদী ভাবনা। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচনায় তার পূর্বভাস পাওয়া যায়। নারী বা ফুল,চাঁদ, প্রেম – এই গল্পের বাইরেও বাস্তবের জীবন, বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রতিটি মানুষ তার জীবন যাত্রার জন্য যে লড়াই লড়ে, সে লড়াইয়ের ইতিহাস এই তিরিশের দশকের উপন্যাসের পাতায় খুঁজে পাওয়া যায়। এই গবেষণাপত্রে তিরিশের দশকের নির্বাচিত ঔপন্যাসিকদের রচনায় বিশ্বের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের ধারার জাতীয় জীবনের ওপর প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে।
মুখ্যশব্দ: তিরিশের দশক, আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী, সমাজচিত্র, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, মূল প্রবন্ধ।.
Page No: 9-14